শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের চেয়ে GBP/USD পেয়ার তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.2680 লেভেলের উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছিল। তবে, ট্রেডিং সেশনের শেষে এই পেয়ারের মূল্য আবার এই লেভেলে ফিরে আসে। এখন, উপরের দিক থেকে একটি রিবাউন্ড পাউন্ডের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এটি উল্লেখ করা দরকার যে, এই সময়ে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে কারেকশন হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গত সপ্তাহে ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির জন্য প্রায় কোনো বাস্তব কারণ ছিল না।
তারপরও, প্রায় পুরো সপ্তাহজুড়ে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পাউন্ডের দর বৃদ্ধির পিছনে সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কারণ নির্দেশ করে। মার্কেটের ট্রেডাররা পূর্বে ওপেন করা শর্ট পজিশনের আংশিক মুনাফা গ্রহণ শুরু করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের এখনো বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। সবাই জানে যে কারেকশন পরে একটি নতুন প্রবণতা শুরু হয়। এই সপ্তাহে, মার্কিন ডলারের উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধি কোনো নিশ্চয়তা নেই, কারণ এটি অনেকটাই মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যা খুব একটা নির্ভুল বা কার্যকর ছিল না। মূল্য 1.2680–1.2695 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছিল। নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার যৌক্তিকতা ছিল, তবে সিগন্যালটি দেরিতে গঠিত হয়েছিল। যেকোনো পরিস্থিতিতে, যদি আপনি কোন ট্রেড ওপেন করেও থাকেন, তবে এটি লাভজনক হতে পারত।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো GBP/USD পেয়ারের মূল্য়ের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ এটি সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এখনো একটি কারেকশন মধ্যে রয়েছে, যা শেষ হতে কিছুটা সময় নিতে পারে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কারণের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2680–1.2685 এরিয়ায় থেকে একটি রিবাউন্ড হলে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করতে পারে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেড করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2754, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993। সোমবার যুক্তরাজ্যে নভেম্বরের ম্যানুফ্যাকচারিং PMI-এর দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে। স্বাভাবিকভাবেই, মার্কিন ISM সূচক ট্রেডারদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।