বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। মূল্য স্থানীয় ট্রেন্ডলাইনের উপরে রয়ে গেছে এবং গতকাল কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংবাদ ছিল না। একমাত্র ইভেন্ট যা ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে তা হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য। এটি উল্লেখযোগ্য যে লাগার্ডে কোন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেননি। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্ভাব্য মার্কিন শুল্ক নিয়ে শঙ্কিত হওয়া উচিত নয় এবং শুল্ক আরোপ হলে তার জবাব দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। তবে, তিনি ট্রাম্পের প্রথম দিনে কোনো শুল্ক আরোপ না করার বিষয়টিকে "যৌক্তিক পদক্ষেপ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেছেন যে ইসিবি 2025 সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি 2%-এ স্থিতিশীল করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা স্পষ্ট ও পূর্বানুমেয় করে তোলে। সামগ্রিকভাবে, তার বক্তব্যে নতুন কোন তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। চার মাসের দরপতনের বিপরীতে ইউরোর মূল্যের কারেকশন চলমান রয়েছে, এবং এই কারেকশন এখনো শেষ হয়নি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য 1.0433-1.0451 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছিল, তবে উল্লেখযোগ্য কোনো নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে, ট্রেডাররা ব্রেকইভেন পয়েন্টে স্টপ লস স্থাপন করে শর্ট পজিশনে থাকার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যদিও স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও বিদ্যমান। আমরা আশা করছি যে মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হবে এবং ডলারের সঙ্গে প্যারিটি লেভেলে পৌঁছাবে। বিদ্যমান মৌলিক এবং সামষ্টিক কারণ অনুযায়ী ইউরোর দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি, যা মার্কিন ডলারের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করছে। এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান কারেকশন একটি ট্রেন্ডলাইনের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে, এবং মূল্য এই লাইনটি ব্রেকআউট করে নিচের দিকে গেলে কারেকশনের সমাপ্তি নির্ধারণ করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার, এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে কারণ ডলার সপ্তাহের শুরুর দরপতন পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে পারে। এই সময়ে, ট্রেন্ডলাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। বৃহস্পতিবার প্রকাশের জন্য একমাত্র নির্ধারিত প্রতিবেদন হলো যুক্তরাষ্ট্রের আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদনt। তবে, এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটির ফলাফল আজ এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।